প্রকাশিত: ০৩/০৮/২০১৬ ৮:১০ এএম

mayউখিয়া নিউজ ডটকম::
মিয়ানমারে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত আদম শুমারীর প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করেছে সে দেশের লেবার, ইমিগ্রেশন এবং জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্যে বর্তমানে মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ১৪ লাখ। আর সে দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ২২ লাখের বেশি। ১৯৮৩ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আদম শুমারীর তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা কমেছে প্রায় দেড় শতাংশ। বেড়েছে খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা।
বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিলের সহায়তায় ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের আদম শুমারীতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১৯৮৩ সালের ৮৯.৪ শতাংশের স্থলে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৭.৯ শতাংশ। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর ৪.৯ শতাংশের স্থলে বেড়েছে ৬.২ শতাংশ এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৩.৯ শতাংশের স্থলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশ। আধ্যাত্ববাদ ০.৮ শতাংশ, হিন্দু ০.৫ শতাংশ, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ০.২ শতাংশ এবং ধর্ম পরিচয়হীন জনসংখ্যা ০.১ শতাংশ। গত সপ্তাহে মিয়ানমারে শ্রম, ইমিগ্রেশন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রী থেইন সোই ইয়াংগুনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের আদমশুমারির প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করেন বলে সেদেশের অনলাইন ইংরেজি দৈনিক দ্যা ইরাওয়াদ্দি ও দ্যা মিজিমা সূত্রে জানা গেছে।
প্রকাশিত তথ্যে ধর্মীয় জনসংখ্যার তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ৪ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার ৬’শ জন। দ্বিতীয় স্থানে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ৩১ লাখ ৮৬ হাজার ৮’শ জন, তৃতীয় স্থানে মুসলিম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২২ লাখ ১০ হাজার ২’শ জন। আধ্যাত্ববাদ জনসংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার, হিন্দু ২ লাখ ৫৭ হাজার, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৮’শ জন। কোন ধর্মাচার পালন করে না এমন লোক সংখ্যা ৫১ হাজার। প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে সবচেয়ে মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত আরাকান প্রদেশে শুমারী চলাকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিবন্ধনে অংশগ্রহণ না করার পরও তাদের গণনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সেখানে নিবন্ধনে অংশগ্রহণকারী মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ০.৪ শতাংশ যা ২৮ হাজার জন মাত্র। তবে গণনায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম জনসংখ্যা উঠে এসেছে রেঙ্গুন বিভাগে। এখানে মুসলিম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪.৭ শতাংশ। অর্র্থাৎ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬’শ জন এবং মুন প্রদেশে মোট জনসংখ্যার ৫.৮ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বী রয়েছে। যা সংখ্যায় ২ লাখ ৫ হাজার, খ্রিষ্টার জনসংখ্যা শান ও কচিন প্রদেশে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে তথ্যে জানানো হয়েছে। উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা শামশুল আলম, জাফর আলম, মৌলভী আব্দুল আজিজ সহ অনেকে মিয়ানমারে আদম শুমারীর প্রাথমিক তথ্যকে সঠিক উল্লেখ করে বলেন, মিয়ানমার ছাড়াও বাংলাদেশ, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এবং ইউরোপ ও আমেরিকায় অন্তত আরও প্রায় ৪০ লাখের মত রোহিঙ্গা বা মুসলিম নাগরিক অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছে। আমরা চাই মিয়ানমারের বর্তমান সরকার জাতি সংঘ সহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহায়তায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘুরা তাদের পরিচয় ও নাগরিকত্ব ফিরিয়ে পাক।

পাঠকের মতামত

আজহারীর পরবর্তী মাহফিল যে স্থানে

সিলেটে যাচ্ছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।আগামীকাল বৃহস্পতিবার আনজুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত ৩৬তম তাফসিরুল ...